ডেঙ্গু জ্বর (Dengue Fever) - ডেঙ্গু জ্বরের কারন এবং লক্ষণ।
পরিচিতিঃ ডেঙ্গু জ্বর (Dengue Fever) - ডেঙ্গু জ্বরের কারন এবং লক্ষণ।
ডেঙ্গু জ্বর (ভিন্ন বানান ডেঙ্গি) যা ইংরেজিতে Dengue Fever বা Broke Back Fever নামেও পরিচিত একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী বা স্ত্রী মশা ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। এডিস (Aedes) মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশে
প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১৯৬৫ সালে।
তখন এই রোগটি ডেঙ্গু
জ্বর নয় বরং "ঢাকা
ফিভার" নামে পরিচিত ছিল।
কিন্তু ২০০০ সালের পর
থেকে রোগটির সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আজকের
আর্টিকেলে ডেংগু জ্বরের
কারণ ও লক্ষন নিয়ে
আলোচনা করা হবে। তবে
ডেংঙ্গু জ্বরের কারণ ও লক্ষণ
নিয়ে আলোচনার পুর্বে এর বাহক এডিস
মশা নিয়ে কিছুটা আলোচনা
করা প্রয়োজন।
এডিস মশা
ডেঙ্গু জ্বর এর বাহক হচ্ছে এডিস মশকী বা স্ত্রী মশা। যার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে এডিস ইজিপ্টি (aedes aegypti ) । ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস এর বাহক এডিস মশা খালি চোখে দেখেই শনাক্ত করা যায়। এই জাতীয় মশার দেহে বাঘের গায়ের ডোরার মত সাদা-কালো কাটা দাগ থাকে, যার জন্য একে অনেক সময় 'টাইগার মশাও' বলা হয়ে থাকে। এডিস মশার অ্যান্টেনায় অনেকটা দাড়ির মত থাকে। দেহের ডোরাকাটা দাগ এবং অ্যান্টেনা দেখে এডিস মশা চেনা সম্ভব।" এই মশা জিকা এবং চিকুনগুনিয়া রোগের ভাইরাসেরও বাহক।
ডেংগু জ্বরের কারন
ডেংগু জ্বরের কারন হচ্ছে রক্তে ডেংগু ভাইরাসের সংক্রমন। ডেংগু ভাইরাস হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত মশা বাহিত এক সূত্রক আরএনএ (RNA) ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ বা প্রকারভেদ পাওয়া গিয়েছে, যার সবগুলিই সমানভাবে রোগ সৃষ্টিতে সক্ষম। এর ফলে জ্বর, অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ সহ অন্যান্য অসুস্থতা দেখা দেয়।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
- উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর (40°C/104°F)
- তীব্র মাথা যন্ত্রণা
- চোখের পিছনে ব্যথার বা যন্ত্রনার অনুভূতি
- মাংসপেশি এবং অস্থি সন্ধি (bone joint) তে যন্ত্রণা
- বমিভাব
- মাথাঘোরা
- গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
- ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি
- ত্বকে লালচে দাগ বা র্যাশ
- প্রচণ্ড পেট ব্যথা
- ক্রমাগত বমি হওয়া
- মাঢ়ি বা নাক থেকে রক্তপাত
- প্রস্রাবে এবং মলের সাথে রক্তপাত
- অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা
- ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ (যা অনেকটা ক্ষতের মতো দেখতে হতে পারে)
- দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস
- ক্লান্তি
- বিরক্তি এবং অস্থিরতা
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url