অনাবৃষ্টি, খরা, দাবদাহ এসব আল্লাহর গজবের বিশেষ রূপ। এর থেকে বাচতে নিয়মিত সালাত, দোয়া এগুলোর পাশাপাশি বিশেষ নামাজ আদায় করা যায়। অনাবৃষ্টি থেকে বাচতে এবং বৃষ্টি কামনায় যে বিশেষ সালাত আদায় করা হয় তা সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ নামে পরিচিত।
আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই, সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ পড়ার নিয়ম, কখন পড়তে হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ পড়ার নিয়ম, কখন পড়তে হয়
- ভূমিকা
- সালাতুল ইস্তিসকা কখন পড়তে হয়
- সালাতুল ইস্তিসকা পড়ার নিয়ম
- সবশেষে
সালাতুল ইস্তিসকা কখন পড়তে হয়
রোদ ও বৃষ্টি উভয়ই আল্লাহর নেয়ামত।জীবন-ধারন এবং কৃষি কাজের জন্য উভয়ই প্রয়োজন । এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেন, "তিনিই আল্লাহ, যিনি বাতাস প্রেরণ করেন, অতঃপর বাতাস মেঘকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর তিনি মেঘকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং মেঘকে স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও যে তার মধ্য হতে বৃষ্টিধারা পতিত হয়। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের কাছে ইচ্ছা তাদের বৃষ্টি পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সূরা আর-রুম, আয়াত: ৩৮)"
আরও পড়ুনঃ
তবে অনেক সময় মানুষের আমল, আচরণ ইত্যাদির কারনে এসব নেয়ামতে পরিবর্তন আসে। দাবদাহ বা তাপপ্রবাহ ইত্যাদি মানুষের জীবনকে করে তুলে দূর্বিসহ, ফল-ফসল ক্ষতির মুখে পরে। এ ধরনের সময়ে প্রয়োজন বৃষ্টির। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করা সুন্নত।
সালাতুল ইস্তিসকা পড়ার নিয়ম
সালাতুল ইস্তিসকা পড়ার নিয়ম বিভিন্ন কিতাবে এসেছে। সে নিয়মগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো
নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গা যেটা ঈদগাহ বা এমন কোন খোলা ময়দান হলে ভালো হয় সেখানে সবাই জমায়েত হবেন। খোলা ময়দানে উঁচু স্বরের কেরাতে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হবে ।
আরও পড়ুনঃ
এরপর ঈমাম সাহেব খুতবা দেবেন। খুতবায় বেশি বেশি ইস্তেগফার এবং কোরআন তেলাওয়াত করবেন। অতঃপর সবাই নিম্নের দোয়াটি পড়বেনঃ-
‘আলহামদু
লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর-রাহমানির রাহিম।
মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ইয়াফয়ালু মা ইউরিদ। আল্লাহুম্মা
আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা
আনতাল গানিয়্যু ওয়া নাহলুল ফুকারাউ।
আনজিল আলাইনাল গাইছা ওয়াজআল মা আনজালতা লানা
কুওয়্যাতান ওয়া বালাগান ইলা
হিন।’
অর্থ:
‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তিনি পরম করুণাময় ও শেষ বিচারের
মালিক। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য
নেই, তিনি যা ইচ্ছা
করেন। হে আল্লাহ, তুমিই
একমাত্র উপাস্য, তুমি ছাড়া কোনো
উপাস্য নেই। তুমি ধনবান,
আমরা ্দরিদ্র। আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ
করো এবং আমাদের জন্য
যা অবতীর্ণ করো, তা আমাদের
জন্য শক্তিময় ও কল্যাণ দান
করো।’ (আবু দাউদ: ১১৭৩)
শেষ কথাঃ সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ পড়ার নিয়ম, কখন পড়তে হয়
আজকের আর্টিকেলের বিষয় ছিলো সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ পড়ার নিয়ম, কখন পড়তে হয়। আশা করি আমাদের আর্টিকেল পুরোটা পড়ে এ বিষয়ে ধারনা পেয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে খরা দাবদাহ থেকে মুক্তি দেন। আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে দিন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url