মসজিদে কুবা । কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত

পরিচিতিঃ মসজিদে কুবা । কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত

ইসলামের ৪র্থ গুরুত্বপুর্ণ মসজিদ হচ্ছে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে কুবা। মসজিদে কুবা (আরবিতেঃ مسجد قباء) রাসুলুল্লাহর (সা.) নবুয়ত প্রাপ্তির পর নির্মিত প্রথম মসজিদ। সে হিসাবে এটি ইসলামের এবং উম্মতে মুহাম্মদির প্রথম মসজিদ।


আমাদের আজকের পোস্টের আলোচনার বিষয় মসজিদে কুবা কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত। এ বিষয়ে জানতে আমাদের পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি। তাহলে চলুন যাওয়া যাক মূল পোস্টে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মসজিদে কুবা । কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত 

  • ভুমিকা
  • মসজিদে কুবার অবস্থান এবং নামকরন
  • মসজিদে কুবা কেন বিখ্যাত

মসজিদে কুবার অবস্থান এবং নামকরন

অবস্থানঃ
     মসজিদে কুবা সৌদি আরবের মদিনা শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত। শহরের কাছে কুবা নামক গ্রাম/স্থানে মসজিদে কুবার অবস্থান। মসজিদে নববি থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এর দুরুত্ব ৩ কি.মি. এর কিছু বেশি আর মক্কা শহর থেকে এর দুরুত্ব উত্তর দিকে ৩২০ কি.মি. এর মত। 
আরও পড়ুনঃ 
নামকরণঃ
        মসজিদে কুবার নামকরণ এটি যে গ্রামে অবস্থিত সেটি অর্থাৎ কুবা গ্রামের নামে। এখানে একই নামে একটি পানির কূপও রয়েছে। 

মসজিদে কুবা কেন বিখ্যাতঃ 
    মসজিদে কুবা বিখ্যাত তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব, সৌন্দর্য এবং এখানে সালাত আদায়ের ফজিলতের জন্য। নিম্নে এ বিষয়গুলো আলোচনা করা হলোঃ
ঐতিহাসিক গুরুত্বঃ

মসজিদে কুবা রাসুলুল্লাহর (সা.) নবুয়ত প্রাপ্তির পর নির্মিত প্রথম মসজিদ। ইতিহাসবিদরা বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন ভিত্তি স্থাপন করেন, তখন কেবলার দিকের প্রথম পাথরটি নিজ হাতে স্থাপন করেন।
আরও পড়ুনঃ 
কুবা মসজিদের জায়গাটি ছিল হযরত কুলসুম ইবনুল হিদম (রা.)-এর খেজুর শুকানোর পতিত জমি। তিনি ছিলেন আমর ইবনে আওফের গোত্রপতি। এখানে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ১৪ দিন মতান্তরে ১০ দিন অবস্থান করেন তার আতিথ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনঃ
রাসূলুল্লাহ(সা.) নিজ হাতে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন এবং এর নির্মান কাজ তদারকি করেছেন বলে ঐতিহাসিক ভাবে এটি গুরুত্ব পূর্ণ।
স্থাপত্য এবং সৌন্দর্যঃ 
        মসজিদে কুবা বর্তমানে প্রায় ১৩৫০০ বর্গমিটার জায়গা নিয়ে স্থাপিত। এতে একটি বড় গম্বুজ এবং ৫টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চারটি উচু মিনার। এছাড়া ছাদে রয়েছে বেশ কিছু গম্বুজের মত কাঠামো। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৭টি মূল দরজা  ১২ টি অতিরিক্ত দরজা রয়েছে।

মসজিদে কুবাতে সালাত আদায়ের ফজিলতঃ
        মসজিদে কুবা এমন একটি মসজিদ যার প্রশংসা আল্লাহ পাক নিজে কুরআন শরীফে করেছেন। এ প্রসংগে আল্লাহ পাক বলেছেন, "যে মসজিদ প্রথম দিন থেকে তাকওয়ার ওপর প্রতিষ্ঠিত সেখানে অবস্থান করা আপনার জন্য অধিক উত্তম সেখানে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ পবিত্র ব্যক্তিদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তওবা, আয়াত : ১০৮)" 
অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মত এ আয়াতের মাধ্যমে  মসজিদে কুবাকেই বুঝানো হয়েছে। 
আরও পড়ুনঃ
মসজিদে কুবা তে নামাজ আদায় অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে বিভিন্ন হাদিসে এসেছে এখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় একবার ওমরাহ করার সমতূল্য। 
এক হাদিসে বলা হয়েছে, "রাসুলুল্লাহ(সা.) প্রতি শনিবার কুবা মসজিদে আসতেনকখনও পায়ে হেঁটে, কখন আরোহণ করে।’ (সহিহ বুখারি, খণ্ড : ০২, হাদিস : ১১১৯)"
নাফি (রা.) বলেন, "আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) হাদিস বর্ণনা করতেন যে, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুবা মাসজিদ জিয়ারত করতেন; কখনো আরোহন করে, আর কখনো পদব্রজে।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৯৩, ১১৯৪, ৭৩২৬)"
আরও পড়ুনঃ
সাহাল ইবনে হানিফ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে সুন্নত মোতাবেক অজু করে মসজিদে কুবাতে এসে সালাত আদায় করেন, তিনি একটি ওমরাহ পালনের সমান সওয়াব  পাবেন’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, ১ম খন্ড, হাদিস নং ১৪১১)"

শেষ কথাঃ মসজিদে কুবা । কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত

আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় ছিলো মসজিদে কুবা  কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত । আশা করি আমাদের এই পোস্ট পড়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের এই পোস্ট যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর মতামত জানান কমেন্ট সেকশনে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪